বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি নতুন কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে, যেখানে হাসনাত আব্দুল্লাহকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে আরও রয়েছেন আরিফ সোহেল (সদস্যসচিব), আবদুল হান্নান মাসউদ (মুখ্য সংগঠক) এবং উমামা ফাতেমা (মুখপাত্র)।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, এই কমিটি সব সমন্বয়কের মতামতের ভিত্তিতে গঠন করা হয়েছে। শিগগিরই কমিটি বর্ধিত করে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি তৈরি করা হবে। সংগঠনের মূল লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে অভ্যুত্থানের শক্তিকে সংগঠিত করা এবং মুজিববাদীদের অপৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
সারজিস আলম জানান, ভুয়া সমন্বয়ক পরিচয়ে কেউ যাতে অপকর্ম করতে না পারে, সেই কারণে তারা সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই আহ্বায়ক কমিটি সেই লক্ষ্যে কাজ করবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন কমিটির সদস্যসচিব আরিফ সোহেল, মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ এবং মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা সারজিস আলমকে অভিনন্দন জানান, যিনি সম্প্রতি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গত ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনের এক পর্যায়ে গত ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। আন্দোলন পরিচালনার জন্য সংগঠনটি প্রথমে ৬৫ সদস্যের সমন্বয়ক টিম গঠন করে, যা পরবর্তীতে ৩ আগস্ট বাড়িয়ে ১৫৮ সদস্যের করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি জাতীয় সংগঠন হিসেবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। তারা রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হওয়ার কোনো ইচ্ছা রাখে না বলে স্পষ্টভাবে জানিয়েছে।